ব্রেকিং নিউজ
পঞ্চগড় মোবাইল চুরির অভিযোগে এক নারীকে বেঁধে নির্যাতন বাপ্পীর সুস্থতা কামনায় দাকোপ বিএনপির মসজিদে মসজিদে দোয়া অনুষ্ঠিত সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম, অস্বস্তি মাছ মাংসের বাজার বিমান বিধ্বস্তে নিহত পাইলট আসিমের মরদেহ মানিকগঞ্জে পৌঁছেছে, স্বজনদের আহাজারি রাসুল (সা.) দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির জন্য যে দোয়া পড়তেন বিদায়ী শ্রেষ্ট শিক্ষিকা লিপিকা দস্তিদারের অবসরে যাওয়ায় বিদায় সংবর্ধনা ও সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান
×

চাকরি ডেস্ক
প্রকাশ : 7/6/2021, 9:56:54 PM

১৯ বছরে যুব মহিলা লীগ

ক্ষমতার পালা বদল। ১/১১। গ্রেনেড হামলা। মামলা, হামলা, জেল-জুলুম। এমন বহু বাধা বিপত্তি এসেছে। তবুও বহু চড়াই উৎরাই পেড়িয়ে বাংলার নারীদের সুসঙ্গঠিত করার কাজটি করেছে বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ।

আজ প্রিয় সংঠনটি ১৯ বছরে পদার্পন করছে।

২০০২ সালের ৬ জুলাই বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে সাবেক ছাত্রলীগের নেত্রীদের নিয়ে প্রতিষ্ঠা করা হয় বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ।

রাজপথে বিএনপি-জামায়াতের অপশাসনের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে গড়ে উঠে নতুন রক্তের স্রোতধারা বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ।

অনেক চড়াই-উৎরাই পার করে প্রাণের সংগঠন বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ তার ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করছে। 

বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসের খবর আতঙ্কিত করতো প্রতিটি বিবেকবান মানুষকে। সেসময়কার নারী নির্যাতনের ঘটনাগুলো পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে স্মরণ করিয়ে দিতো। প্রতিনিয়তই এক ভয় ও উৎকণ্ঠার মধ্যে থাকতে হতো এই জনপদের মানুষ।

আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থক ও সংখ্যালঘু পরিবারের নারীদের উপর নেমে এসেছিলো ইতিহাসের অন্যতম জঘন্য বর্বর পাশবিক নির্যাতন।

এমন পরিস্থিতিতে ছাত্রলীগের সাবেক নেত্রীদেরকে নিয়ে যুব মহিলা লীগ প্রতিষ্ঠা করে জননেত্রী শেখ হাসিনা এদেশের নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন। 

বিএনপি-জামাতের দমনপীড়নের রাজনীতির সময়ে জন্ম নেওয়া  যুব মহিলা লীগ দলের ক্রান্তিলগ্নে সবসময় ছিলো অগ্রগামী। মিছিল-মিটিং-হরতাল সহ সকল দলীয় কর্মসূচি সফল করতে যুব মহিলা লীগের কর্মীরা সকল সময়ে রাজপথে ছিলো। পাশাপাশি সকল জাতীয় ইস্যুতে সমানভাবে সক্রিয় আছে যুব মহিলা লীগের নেতাকর্মীরা।

১/১১ সরকার ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করার পর রাজপথে জোরালো ভূমিকা রেখেছিলো  যুব মহিলা লীগ। 

সংগ্রামী সভাপতি নাজমা আক্তার এবং সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপিকা অপু উকিল এর নেতৃত্বে সর্বপ্রথম জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তির জন্য সেই সময়, গন অনশন, গনসাক্ষর শুরু করেছিল। 

বিপ্লব-রাজনীতির মাঠে পুরুষের সাথে সমান তালে এগিয়ে যাচ্ছে নারীরাও। ভুলে গেলে চলবেনা বাংলার নারীরা প্রীতিলতার রক্ত বহন করে চলেছে। '৬৬ এর ছয় দফা, '৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, '৭০ এর নির্বাচন, '৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে নারীদের ভূমিকা ছিলো অগ্রগণ্য।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-কে হত্যার পর এদেশের গণতন্ত্র যখন সামরিক শাসকদের হাত নিষ্পেষিত তখন ও একজন নারী-ই এসে আওয়ামী লীগের হাল ধরেছিলেন। বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনেছিলো গণতন্ত্র।

সেই নারী আজকের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে অনন্য উচ্চতায়।

এদেশের মানুষের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, গণতান্ত্রিক মুক্তিও এসেছে তাঁরই হাত ধরে। 

বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ "শিক্ষা★সাম্য★প্রগতি" - এই তিন মূলমন্ত্র নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই বিএনপি-জামাতের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে রাজনীতি করে আসা সংগঠনটি সভাপতি নাজমা আপা এবং সাধারণ সম্পাদক অপুদির নেতৃত্বে আজ ১৯ বছরে পা রেখেছে। 

বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ  সোনার বাংলা বিনির্মাণে। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা ও এদেশের মানুষের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য যুব মহিলা লীগ অতীতের মতই রাজপথে থেকে কাজ করে যাবে।

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নযাত্রার স্বপ্ন বাহু জননেত্রী শেখ হাসিনার পাশে বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ সব সময়  থাকবে। 

তথ্যপ্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ একটি বাংলাদেশ এবং জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ গড়তে জননেত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকারকে বাস্তবায়ন করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ।

অতীতের মত যেকোন অন্যায়ের বিরুদ্ধে এখনো সমানতালে সোচ্চার রয়েছে বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ।

নারীর ক্ষমতায়নে জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার অঙ্গীকারকে আরো বেগবান করতে জোরালো ভূমিকা রাখবে প্রাণের এই সংগঠনটি।

সামনের দিনে নারী প্রগতি এবং নারীর মর্যাদা রক্ষায় বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ সামনে থেকে নেতৃত্ব দিবে এই আশা করি।

জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু 
জয় শেখ হাসিনা।

লেখক

কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি
সহ সভাপতি
বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ